সিরাজগঞ্জের চৌহালী যমুনা বিধ্বস্ত দুর্গম চর হিসেবে ২০১৭ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত হয় এই জনপদটি তারই অংশবিশেষ সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার খাষপুকুরিয়া ইউনিয়নের বৈন্যা গ্রামে শোকাবহ গণহত্যার গণকবর সন্ধান করে স্মৃতিফলক নির্মাণ করেছেন উপজেলা প্রশাসন। একাত্তরের এই দিনে ১৪ জন সাধারণ মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে পাক সেনারা।
১৯৭১ সালের ২৫ অক্টোবর ১০টায় চৌহালী উপজেলার বৈন্যা গ্রামের পাক হানাদার বাহিনীর আক্রমণের খবর পেয়ে গ্রামের ৩০ জনের বেশি নিরীহ জনসাধারণ জনৈক দুলাল সরকারের বাড়িতে আশ্রয় গ্রহণ করেন। স্থানীয় রাজাকারদের মাধ্যমে খবর পেয়ে পাক বাহিনী চারদিকে থেকে বাড়িটি ঘিরে ফেলে এবং নিরস্ত্র মানুষের উপর নির্বিচারে গুলি বর্ষণ করে, ইতিহাসের এক জঘন্য গণহত্যার নজির সৃষ্টি করে।?
সাথে সংগঠিত রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে পাক হানাদার তারা প্রতিশোধ নিতে হানাদার বাহিনী ২৫ অক্টোবর উপজেলার বৈন্যা গ্রামে ১৪ জনকে একত্রিত করে পাক সেনারা। শুরু হয় তাদের ওপর নির্মম নির্যাতন। এক পর্যায়ে হত্যা করা হয় তাদের।
গণ কবরের শহীদরা হলেন-বৈন্যা গ্রামের হারুন অর-রশিদ, কুজরত আলী, আ: লতিফ, ছাত্তার, নৈয়ম উদ্দিন মুন্সী, আব্দুল মিয়া, আব্দুস সামাদ মিয়া, মনের উদ্দিন বেপারী, আব্দুল কদ্দুস ছেলে, আবু ফকির, নেরু সেখ, অজ্ঞাত শ্রী যোগিন্দ পাটনি, শাহজাহান আলী, আব্দুস ছাত্তার শহীদ হওয়ার তারিখ ২৫ অক্টোবর ১৯৭১। তাদের ১৪টি কবর এক সারিতে দেওয়া আছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস